বুধবার

মুরগির রোগ ও প্রতিকার: সহজ সমাধান

মুরগির রোগ, প্রতিকার ও চিকিৎসা


এখানে যা থাকছে---

  • মুরগির রোগ ও চিকিৎসা
  • মুরগির রানীক্ষেত রোগ
  • মুরগির সাদা পায়খানা ও কাশি
  • পোল্ট্রি রোগ ও Poultry treatment
  • Chicken diseases and Newcastle Disease
  • Pullorum Disease and Chicken cough

মুরগির রোগ, মুরগির চিকিৎসা, রানীক্ষেত রোগ, মুরগির সাদা পায়খানা, মুরগির কাশি, পোল্ট্রি রোগ, Poultry treatment,  Chicken diseases, Newcastle Disease, Pullorum Disease, Chicken cough
মুরগির রোগ ও চিকিৎসা 


মুরগির পালনে লাভবান হতে হলে তাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে সচেতন থাকা এবং সঠিক প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে মুরগির কিছু সাধারণ এবং গুরুতর রোগের বিবরণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধে ক্রিমিনাশক খাওয়ানোর গুরুত্ত্ব ও খাওয়ানোর নিয়মাবলী সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা থাকবে।



রানীক্ষেত রোগ

রানীক্ষেত (Newcastle Disease) মুরগির একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ যা শ্বাসতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। এই রোগে আক্রান্ত মুরগির মৃত্যু হার অনেক বেশি।রানি খেত, যা নিউক্যাসেল রোগ নামে পরিচিত, মুরগির জন্য একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।


লক্ষণ

  • শ্বাসকষ্ট
  • খকখক কাশি
  • খাবারের প্রতি অনীহা
  • মাথা ঘুরানো
  • ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়া
  • নরম ডিমের খোসা
  • সবুজ পায়খানা
  • খিঁচুনি
  • মুরগির মাথা ও ঘাড় ঘোরানো


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ:

  • বাচ্চা মুরগিকে ১ দিনের মাথায় এবং ৪ সপ্তাহে রানীক্ষেত টিকা দিতে হবে। 
  • নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
  • নিয়মিত টিকা প্রদান (মুখে খাওয়ানো বা ইনজেকশন)


প্রতিকার:

  • আক্রান্ত মুরগিকে আলাদা করে রাখতে হবে।
  • এন্টিভাইরাল ওষুধ সরাসরি কার্যকর নয়, তবে সংক্রমণ প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • ডক্সিসাইক্লিন:

  - ব্রান্ড নাম: ডক্সি

  - কোম্পানি: Opsonin Pharma Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলিগ্রাম/কেজি বডি ওয়েট হিসেবে ৫-৭ দিন।


বিকল্প ঔষুধ:

  • অক্সিটেট্রাসাইক্লিন: 

  - ব্রান্ড নাম: টেট্রা-ডেল্টা

  - কোম্পানি: Acme Laboratories Ltd.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০০ মিলিগ্রাম/কেজি বডি ওয়েট হিসেবে ৩-৫ দিন।

  • এনরোফ্লক্সাসিন:

  - ব্রান্ড নাম: বাইকোক্স

  - কোম্পানি: Renata Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলিগ্রাম ৫-৭ দিন।


টিকা:

  • LaSota Vaccine: ১-৭ দিনের মধ্যে মুখে বা চোখে প্রয়োগ করতে হয়।
  • ND Lasota Vaccine: প্রতি ২-৩ মাসে প্রয়োগ করা উচিত।



সবুজ পায়খানা বা সবুজ ডায়রিয়া (Green Diarrhea)


লক্ষণসমূহ:

  • সবুজ রঙের মলত্যাগ
  • অস্বাভাবিক ক্লান্তি
  • খাওয়া বন্ধ করা


প্রতিরোধ ও প্রতিকার:

  • রোগ নির্ণয় এবং সঠিক ওষুধ প্রয়োগ
  • পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা


ওষুধ:

  • Neomycin (ব্রান্ড নাম: Neo-Sol): ২০-৫০ মিগ্রা প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
  • Chlortetracycline** (ব্রান্ড নাম: Aureomycin): খাবারের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।
  • নির্দেশনা: সবুজ পায়খানার জন্য উল্লিখিত ওষুধগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করতে হবে। উভয় একসাথে খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।




সাদা পায়খানা বা চুনা পায়খানা

সাদা পায়খানা বা চুনা পায়খানা (Pullorum Disease) সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এই রোগটি মুরগির জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।


লক্ষণ

  • সাদা বা চুনা রঙের পায়খানা
  • ঝিমানো
  • ক্ষুধামন্দা
  • ডিহাইড্রেশন
  • মৃত্যুর হার বৃদ্ধি


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ:  

  • মুরগির খাঁচা এবং খাদ্য-পানির পাত্র পরিষ্কার রাখা।
  • নিয়মিত জীবাণুনাশক ব্যবহার করা।


প্রতিকার:

  • সালমোনেলা সংক্রমণ প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • এনরোফ্লক্সাসিন: 

  - ব্রান্ড নাম: বাইকোক্স

  - কোম্পানি: Renata Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলিগ্রাম ৫-৭ দিন।


বিকল্প ঔষুধ:

  • অ্যাম্পিসিলিন: 

  - ব্রান্ড নাম: মাইসিলিন

  - কোম্পানি: ACI Animal Health.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ২০-২৫ মিলিগ্রাম/কেজি বডি ওয়েট হিসেবে ৫-৭ দিন।

  • ট্রাইমেথোপ্রিম-সালফামেথোক্সাজোল:

  - ব্রান্ড নাম: কোট্রিম-ভেট

  - কোম্পানি: Opsonin Pharma Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম ৫-৭ দিন।



সাধারণ চুনা পায়খানা বা চুনা ডায়রিয়া (White Diarrhea)


লক্ষণসমূহ:

  • সাদা বা চুনার মতো মলত্যাগ
  • দুর্বলতা
  • দ্রুত ওজন হ্রাস


প্রতিরোধ ও প্রতিকার:

  • সঠিক স্যানিটেশন
  • সংক্রামিত মুরগিকে আলাদা করা
  • অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার


ওষুধ:

  • Furazolidone (ব্রান্ড নাম: Furoxone): ১০০ গ্রাম খাবারের সাথে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
  • Sulfaquinoxaline (ব্রান্ড নাম: Sulfa-Q): ০.০৫% পানির সাথে মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
  • নির্দেশনা: চুনা পায়খানার জন্য উল্লিখিত দুটি ওষুধের যেকোনো একটি ব্যবহার করতে হবে। উভয় একসাথে খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।



খকখক কাশি

খকখক কাশি শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন দ্বারা সৃষ্ট হয়।


লক্ষণ

  • খকখক কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • নাক দিয়ে পানি পড়া


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ:  

  • মুরগির খাঁচা ও চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা। 
  • সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা।


প্রতিকার:  

  • এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • টাইলোসিন: 

  - ব্রান্ড নাম: টাইলোসিন ভেট

  - কোম্পানি: Square Pharmaceuticals Ltd.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম, ৩-৫ দিন।


বিকল্প ঔষুধ:

  • ডক্সিসাইক্লিন:

  - ব্রান্ড নাম: ডক্সি

  - কোম্পানি: Opsonin Pharma Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলিগ্রাম, ৫-৭ দিন।

  • এমোক্সিসিলিন: 

  - ব্রান্ড নাম: এমোক্সি

  - কোম্পানি: Renata Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ২০ মিলিগ্রাম, ৫-৭ দিন।



চোখের চারপাশে ফোলা

চোখের চারপাশে ফোলা (Infectious Coryza) সাধারণত ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট।


লক্ষণ

  • চোখের চারপাশে ফোলা
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • খাওয়াতে অনীহা


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ

  • নিয়মিত টিকা দেয়া এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার।


প্রতিকার:

  • এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • অক্সিটেট্রাসাইক্লিন:

  - ব্রান্ড নাম: টেট্রা-ডেল্টা

  - কোম্পানি: Acme Laboratories Ltd.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০০ মিলিগ্রাম/কেজি বডি ওয়েট হিসেবে ৩-৫ দিন।


বিকল্প ঔষুধ:

  • সালফাডিমিডিন:

  - ব্রান্ড নাম: ক্লাস

  - কোম্পানি: SK+F Pharmaceuticals Ltd.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ২০০ মিলিগ্রাম/কেজি বডি ওয়েট হিসেবে ৩-৫ দিন।

  • ডক্সিসাইক্লিন: 

  - ব্রান্ড নাম: ডক্সি

  - কোম্পানি: Opsonin Pharma Limited.

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১০ মিলিগ্রাম/কেজি বডি ওয়েট হিসেবে ৫-৭ দিন।



পক্স (Fowl Pox)

পক্স (Fowl Pox) ভাইরাসজনিত একটি রোগ যা ত্বকের উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়।


লক্ষণ

  • ত্বকের উপরে ফুসকুড়ি
  • মুখ ও চোখের চারপাশে পুঁজ
  • খাওয়ার অনীহা
  • ওজন হ্রাস


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ

  • পক্স টিকা প্রদান করা।
  • মশার কামড় থেকে রক্ষা করা, কারণ মশা পক্স ছড়াতে পারে।


প্রতিকার

  • আক্রান্ত মুরগির ক্ষতস্থানে এন্টিসেপটিক প্রয়োগ করা।
  • পক্সের চিকিৎসা সরাসরি সম্ভব নয়, তবে সেকেন্ডারি সংক্রমণ রোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • পভিডোন-আয়োডিন:

  - ব্রান্ড নাম: বেটাডিন

  - কোম্পানি: ACI Limited.

  - প্রয়োগ: ক্ষতস্থানে দিনে ২-৩ বার লাগানো।



কলেরা (Fowl Cholera)

কলেরা (Fowl Cholera) পাস্তুরেলা মালটোসিডা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক রোগ।


লক্ষণ

  • উচ্চ তাপমাত্রা
  • ক্ষুধামন্দা
  • শ্বাসকষ্ট
  • মুখ থেকে লাল-সবুজ রঙের মিউকাস নির্গত হওয়া
  • মৃত্যু


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ

  • কলেরার টিকা প্রদান করা।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।


প্রতিকার:  

  • এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • টেট্রাসাইক্লিন: 

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম, ৫-৭ দিন।


বিকল্প ঔষুধ:

  • পেনিসিলিন: 

  - ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ২০ মিলিগ্রাম, ৫-৭ দিন।



কোকসিডিওসিস (Coccidiosis)

কোকসিডিওসিস একটি প্রোটোজোয়ান পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ যা মুরগির অন্ত্রকে আক্রমণ করে।


লক্ষণ

  • রক্তমিশ্রিত মলত্যাগ
  • ঝিমানো
  • খাওয়ার অনীহা
  • দুর্বলতা
  • দ্রুত ওজন হ্রাস


প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ

  • কোকসিডিওসিসের টিকা প্রদান।
  • সঠিক স্যানিটেশন ও সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।


প্রতিকার:  

  • এন্টি-কোকসিডিয়াল ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • Amprolium

 - ব্রান্ড নাম: Amprol

- ডোজ: ০.০১২% খাবারের সাথে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।


বিকল্প ঔষুধ:

  • সালফাকুইনোক্সালিন (white-spacSulfaquinoxaline):

  - ব্রান্ড নাম: Sulfa-Q

- ডোজ: প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম, ৩-৫ দিন।



এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (Avian Influenza)

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাধারণত বার্ড ফ্লু নামে পরিচিত, মুরগির মধ্যে একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ।


লক্ষণসমূহ:

  • শ্বাসকষ্ট
  • সর্দি ও কাশি
  • ডিম উৎপাদনে হ্রাস

প্রতিরোধ ও প্রতিকার:

  • আক্রান্ত মুরগি আলাদা করতে হবে।
  • রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।


টিকা:

  • AI Vaccine: প্রতি ৬ মাসে একবার প্রয়োগ করা উচিত।



পরজীবি ঘটিত রোগ

মুরগির শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরজীবি (যেমন: রাউন্ডওয়ার্ম, টেপওয়ার্ম) আক্রমণ করতে পারে।


লক্ষণ

  • ওজন হ্রাস
  • ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়া
  • অস্বস্তি

প্রতিরোধ ও প্রতিকার

প্রতিরোধ:  

  • নিয়মিত মুরগির খাঁচা পরিষ্কার রাখা।


প্রতিকার

  • ডিওয়ার্মিং ওষুধ ব্যবহার করা।


সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ:

  • পাইরান্টেল পামোয়েট: 

  - ব্রান্ড নাম: কম্বেট

  - কোম্পানি: Renata Limited.

  - ডোজ: প্রতি ২ কেজি বডি ওয়েটের জন্য ১ গ্রাম।



ইঁচড়ে পোকা সংক্রমণ (Lice and Mite Infestation)

ইঁচড়ে পোকা ও মাইট সংক্রমণ মুরগির স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


লক্ষণসমূহ:

  • অতিরিক্ত চুলকানি
  • পালক ঝরে পড়া
  • দুর্বলতা


প্রতিরোধ ও প্রতিকার:

  • নিয়মিত খামার পরিষ্কার রাখা।
  • নির্দিষ্ট কীটনাশক ব্যবহার।

ওষুধ:

  • Permethrin Spray** (ব্রান্ড নাম: Ectiban): 0.25% সংক্রমিত স্থানে স্প্রে করা। 
  • Ivermectin** (ব্রান্ড নাম: Ivomec): প্রতিটি মুরগিকে 200 µg প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী খাওয়ানো।
  • নির্দেশনা: উল্লিখিত ওষুধগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করতে হবে। উভয় একসাথে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।



মুরগির রোগ প্রতিরোধে ক্রিমির ওষুধ প্রয়োগ

মুরগির মধ্যে ক্রিমি সংক্রমণ হলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করতে পারে না। সঠিক সময়ে ক্রিমির ওষুধ প্রয়োগ করে মুরগির স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।


ক্রিমির ওষুধ:

  • Piperazine (ব্রান্ড নাম: Piperazine 45%): প্রতি লিটার পানির সাথে ৪৫ মিলিগ্রাম মিশিয়ে একদিন খাওয়াতে হবে। এক লিটার পানির ওষুধ ২০-২৫টি মুরগির জন্য পর্যাপ্ত।
  • Levamisole (ব্রান্ড নাম: Levipor): প্রতি লিটার পানির সাথে ২০ মিলিগ্রাম মিশিয়ে একদিন খাওয়াতে হবে। এক লিটার পানির ওষুধ ২০-২৫টি মুরগির জন্য পর্যাপ্ত।

প্রয়োগের নিয়ম:

  • প্রতি ৩-৬ মাস পর পর ক্রিমির ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত।
  • খাবারের সাথে মিশিয়ে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যায়।
  • ওষুধ প্রয়োগের সময় সঠিক ডোজ নিশ্চিত করা জরুরি।


মুরগির যে কোনো ঔষুধ প্রয়োগের সময়সূচি

  • সকাল: ওষুধ প্রয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় সকাল। কারণ মুরগিরা সকালের দিকে বেশি খায় ও পানি পান করে, যা ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ায়।
  • বিকাল: বিকালের দিকে ওষুধ দেওয়া যেতে পারে তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে মুরগিরা যথেষ্ট পরিমাণে ওষুধ গ্রহণ করে।


ঋতুভেদে রোগের প্রকোপ

  • গ্রীষ্মকালে: রানীক্ষেত, পক্স
  • বর্ষাকালে: খকখক কাশি, সর্দি
  • শীতকালে: চোখের চারপাশে ফোলা, সাদা পায়খানা



টিকা সমূহ ও প্রাপ্তির স্থান

  • রানীক্ষেত টিকা: স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসে অথবা, যেকোনো ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে।
  • পক্স টিকা: স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসে অথবা, যেকোনো ভেটেরিনারি ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে।



মুরগির পালনে লাভবান হতে হলে তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকা ও সময়মত প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। উপরোক্ত তথ্যগুলি মুরগির সাধারণ রোগগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং সঠিক সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়ক হবে।




উৎস: এই আর্টিকেলটি লিখতে আমার নিজের লেখার পাশাপাশি এআই টেকনোলজির সাহায্যে নেওয়া হয়েছে।


নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon