বাছুর, গাভী বা গরুর গিরা ফোলা রোগের ওষুধ ও চিকিৎসা
এখানে যা থাকছে---
- গরুর গিরা ফোলা রোগের ঔষুধ
- বাছুর ও গাভীর গিরা ফোলা চিকিৎসা
- গরুর পা ফোলা রোগ
- গরুর ক্ষুর ও হাটু ফোলা রোগের কারণ
গরুর গিরা ফোলা রোগের চিকিৎসা |
গরুর গিরা ফোলা বা হাটু ফোলা বা পা ফোলা গরুর মারাত্মক রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাছুর বা গর্ভবতী গাভী বা দুগ্ধবতী গাভী সহ এড়ে বা বলদ এমনকি বকন বা বকনা সব বয়সের গরুর পা ফোলা বা গিরা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। দুগ্ধবতী গরুর গিরা বা পা ফোলা রোগ বেশি দেখা দেয়। পা বা গিরা ফোলা রোগ কোনো জেনেটিক বা বংশিও রোগ নয়, এটি সাধারনত গরুর ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে গরুর গিরা ফোলা বা পা ফোলা রোগ দেখা দেয়। সময় মতো চিকিৎসা না করালে গরুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আমাদের আজকের আলোচনা গরুর পা ফোলা রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার, লক্ষণ, চিকিৎসা ও ঔষুধ নিয়ে।
গরুর গিরা ফোলা রোগের প্রকারভেদঃ
গিরা ফোলা রোগ সব বয়সের গরুর দেখা দিলেও সাধারনত দুগ্ধবতী ও ৫ বছরের বেশি বয়সের গরুর বেশি দেখা দেয়। গরুর গিরা ফোলা রোগ সাধারনত ২ প্রকার যথা-
- ১. গরুর ব্যথাহীন বা অপ্রদাহিক ডিজেনারেটিভ গিরা ফোলা রোগ
- ২. গরুর ব্যথা যুক্ত বা জীবাণু ঘটিত অস্থি সন্ধি প্রদাহ বা গিরা ফোলা রোগ
গরুর ব্যথাহীন অপ্রদাহিক গিরা ফোলা রোগের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ টি গিরা একসাথে ফুলে যায় , পা ফুলে গেলেও তাতে কোনো ব্যথা না থাকায় গরু হাটা চলা করতে পারে।
গরুর ব্যথাযুক্ত জীবাণু ঘটিত পা ফোলা বা হাটু ফোলা রোগের ক্ষেত্রে পায়ে খুব ব্যথা থাকায় গরু হাটতে চলতে অসুবিধা বোধ করে। এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ গরুর পিছনের পা ব্যকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ফুলে যায়। গরুর পিছনের পা ফোলার এ হার শতকরা ৯২ ভাগ। শতকরা ৬৫ ভাগ গরুর বাইরের ক্ষুর আক্রান্ত হয় এবং ভেতরের ক্ষুর আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে শতকরা ১৪ ভাগ। এছাড়া হাটা চলার সময় ২৮% গরু ব্যথায় খোড়াতে শুরু করে। ব্যকটেরিয়া জনিত এ রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুগদ্ধবতী গাভীর পা বা অস্থি সন্ধি সমূহে বেশি সংক্রামিত হয়ে থাকে।
গরুর পা ফোলা রোগের কারণঃ
নানা কারণে গরু, বাছুর বা গাভীর পা বা গিরা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। আঘাত জনিত কারনেও গরুর পা ফুলে যেতে পারে। তবে ব্যাকটেরিয়া জনিত পা ফোলা খুবি মারাত্মক রূপ ধারণ করে। সাধারনত Streptococcus spp, Staphylococcus spp, Corynebacterium pyogenes, E. Coli সহ নানা প্রজাতির ক্ষতিকারক ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণে গরুর পা, হাটু ও ক্ষুর ফোলা রোগ হয়ে থাকে। FMD বা ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হবার পর অনেক সময় ক্ষুর বা পা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। দুগ্ধবতী গাভীর দুধ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন- ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাব দেখা দিলে গাভীর পা বা গিরা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় গরুর শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত ৩ঃ১ এর কম বা বেশি হলে বা তারতম্য হলেও গরুর গিরা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। আবার বাছুরের নাভী পাকা বা নাভী ফোলা রোগ দেখা দিলে, দুগ্ধবতী গাভীর ওলান প্রদাহ বা ম্যাসটাইটিস রোগ দেখা দিলে, মাইকোপ্লাজমা এর কার্যকারিতা হ্রাস পেলে এবং গরুর নিউমোনিয়া সহ মারাত্মক রোগ ভোগের পর পা ফোলা বা গিরা ফোলা বা হাটু ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। গরুর পায়ে আঘাত পেলে বা শক্ত কিছুতে ঘষা খেলেও গরুর পায়ে ব্যথা পেয়ে ফুলে যেতে পারে। গোয়ালের মেঝের ঘষায় বা গরুকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও অনেক সময় গরুর পা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। গরুর হাড়ে বা পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে, অতিমাত্রায় বেশি করে দীর্ঘদিন শুধু দানাদার খাদ্য খাওয়ালে, গরুকে হাটা চলা না করালে গরুর পা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। ক্ষুরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ক্ষুরে ক্ষুরে ঘষা লাগার ফলেও গরুর পা বা ক্ষুরে ব্যথা সহ পা ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। গরুর পা ফোলা বা গিরা ফোলা বা হাটু ফোলা বা ক্ষুর ফোলা রোগের দ্রুত চিকিৎসা না করালে গরু খোড়া হয়ে যেতে পারে, গরুর দুধ ও মাংস উৎপাদন কমে যেতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
গরুর গিরা ফোলা রোগের লক্ষণঃ
গরুর পা ফোলা বা গিরা ফোলা বা হাটু ফোলা বা ক্ষুর ফোলা বা পায়ে ব্যথা রোগ কে গরুর সন্ধি প্রদাহ বলে। যে কোনো গরু বা গাভী বা বাছুরের পা ফোলা রোগের লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ -
- ১. গাভী, বাছুর বা গরুর এক বা একাধিক পা বা পায়ের গিরা বা ক্ষুর ফুলে যাবে।
- ২. গিরা ফুলে যাওয়ায় গরুর পায়ে ব্যথা অনুভূত হবে ফলে হাটা চলা করতে সমস্যা হবে এবং খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতে দেখা যাবে।
- ৩. পা ফোলা রোগে গরু জাবর কাটা কমিয়ে দেবে, খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেবে এবং এক স্থানে ঝুপটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকবে।
- ৪. দুগ্ধবতী গাভীর পা ফোলা রোগে গাভীর দুধ উৎপাদন কমে যাবে।
- ৫. গরুর পায়ে বা গিরায় তাপমাত্রা বেড়ে যাবে এবং ফোলা স্থানে চাপ প্রয়োগে নরম অনুভব হবে।
- ৬. গাভী, বাছুর বা গরুর ওঠা বসা করতে কষ্ট হবে এবং নড়াচড়া কমিয়ে দেবে।
- ৭. অরুচি ও খাদ্যগ্রহণে অনিহা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে শারিরীক দূর্বলতা দেখা দেবে।
- ৮. গরুর পা ফোলা রোগে গরুর মাংস উৎপাদন হ্রাস পাবে।
- ৯. বাছুরের পা ফোলা রোগে বাছুর ঝুপ মেরে শুয়ে থাকবে এবং শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
- ১০. গর্ভবতী গাভীর বাচ্চা দিতে বিলম্বিত হতে পারে এবং গাভীর উর্বরতা কমে যেতে পারে।
- ১১. ডিজেনারেটিভ প্রকৃতির পা বা গিরে বা গিরা ফোলা রোগে গরুর ব্যথা নাও থাকতে পারে তবে ফোলা স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাবে।
- ১২. গরুর শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং হার্ট বিট অস্বাভাবিক হতে পারে।
- ১৩. গরুর এক বা দুই এমনকি চারটি গিরা বা পা বা ক্ষুর ফুলে যেতে পারে এবং গরু খুড়িয়ে হাটা চলা করতে পারে বা পা উচু করে রাখতে পারে।
গরুর পা বা গিরা ফোলা রোগের ওষুধ ও চিকিৎসাঃ
গরুর পা ফোলা বা ক্ষুর ও হাটু বা গিরা ফোলা রোগের দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত। নিম্নে গরুর পা ফোলা রোগের ওষুধ (ঔষুধ), চিকিৎসা বা প্রেসক্রিপশন তুলে ধরা হলো-
দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী গাভীর পা ফোলা চিকিৎসা-
- ১. এন্টি হিসটামিন গ্রুপের গর্ভকালীন নিরাপদ ইঞ্জেকশন নির্দেশিত মাত্রায় দিনে এক বার করে ৩-৫ দিন।
- ২. Ceftriaxone গ্রুপের হায়ার এন্টিবায়োটিক যেমন- Taxovet ইনজেকশন, প্রতি ১ কেজি ওজনের গরুর জন্য ১০ মিলিগ্রাম, দিনে ১ বার করে ৩-৫ দিন।
- ৩. ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন যেমন- Kto A vet নির্দেশিত মাত্রায় দিনে ১ বার করে ৩-৪ দিন।
- ৪. ক্যালসিয়াম ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা ক্যালসিয়াম লিকুইড যেমন - RenaCal-P পরিমিত মাত্রায় খাওয়াতে হবে।
- ৫. মাল্টিভিটামিন, মাল্টি মিনারেল ও এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ ইনজেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা লিকুইড বা সিরাপ খাওয়াতে হবে অথবা পাউডার যেমন- Renavit DB Plus প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় খাওয়াতে হবে।
- ৬. ভিটামিন ADE ইনজেকশন ৫-১০ মিলি দিনে এক বার করে পরপর ৩ দিন প্রয়োগ করতে হবে।
- ৭. ফোলা স্থানে দিনে ৩-৪ বার হালকা গরম জল ঢালতে হবে।
বাছুরের পা ফোলা চিকিৎসা-
- ১. এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ যেমন- Hista-Vet ইনজেকশন, ০.৫-১ মিলি, দিনে এক বার করে ৩-৫ দিন।
- ২. Streptomycin & Penicillin গ্রুপের এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন যেমন- SP-Vet, ৩-৫ দিন ওষুধের গায়ে থাকা নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী দিনে এক বার করে প্রয়োগ করতে হবে।
- ৩. ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন যেমন - Ketoprofen vet দিনে এক বার করে ঔষুধের গায়ে থাকা নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী ৩-৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে।
- ৪. ক্যালসিয়াম ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা ক্যালসিয়াম লিকুইড যেমন - RenaCal-P পরিমিত মাত্রায় খাওয়াতে হবে।
- ৫. মাল্টিভিটামিন, মাল্টি মিনারেল ও এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ ইনজেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা লিকুইড বা সিরাপ খাওয়াতে হবে অথবা পাউডার যেমন- Renavit DB Plus প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় খাওয়াতে হবে।
- ৬. ভিটামিন ADE ইনজেকশন ৫-১০ মিলি দিনে এক বার করে পরপর ৩ দিন প্রয়োগ করতে হবে।
- ৭. ফোলা স্থানে দিনে ৩-৪ বার হালকা গরম জল ঢালতে হবে।
এড়ে, বলদ বা বকন ও যে কোনো গরুর পা ফোলা রোগের চিকিৎসা-
- ১. এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ যেমন- AstaVet ইনজেকশন, ৫-১০ মিলি, দিনে এক বার করে ৩-৫ দিন।
- ২. টাইলোসিন অথবা Ceftriaxone গ্রুপের এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা Streptomycin & Penicillin গ্রুপের হায়ার এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন যেমন- SP-Vet, ৩-৫ দিন ওষুধের গায়ে থাকা নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী দিনে এক বার করে প্রয়োগ করতে হবে।
- ৩. ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন যেমন - Ketoprofen vet অথবা Tolfamin vet অথবা Prednisolon vet দিনে এক বার করে ঔষুধের গায়ে থাকা নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী ৩-৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে।
- ৪. ক্যালসিয়াম ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা ক্যালসিয়াম লিকুইড যেমন - RenaCal-P পরিমিত মাত্রায় খাওয়াতে হবে।
- ৫. মাল্টি ভিটামিন, মাল্টি মিনারেল ও এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ ইনজেকশন প্রয়োগ করতে হবে অথবা লিকুইড বা সিরাপ খাওয়াতে হবে অথবা পাউডার যেমন- Renavit DB Plus প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
- ৬. ভিটামিন ADE ইনজেকশন ৫-১০ মিলি দিনে এক বার করে পরপর ৩ দিন প্রয়োগ করতে হবে।
- ৭. ফোলা স্থানে দিনে ৩-৪ বার হালকা গরম জল ঢালতে হবে।
গরুর গিরা ফোলা রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারঃ
- ১. গরুর গোয়াল বা খামারের মেঝে পাকা বা ইটের তৈরি হলে মেঝেতে রাবারের ম্যাট বা বিছানা বিছিয়ে দিতে হবে।
- ২. গরুর শোবার ঘর নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার আয়োডিন যুক্ত জীবাণুনাশক যেমন - FAM 30 প্রয়োজন মতো জলের সাথে মিশিয়ে মেঝেতে স্প্রে করতে হবে এবং গরুর খাবার পাত্রে স্প্রে করে পরিষ্কার জল বা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ৩. গরুকে নিয়মিত কাচা ঘাস সর্বরাহ করতে হবে যাতে গরু পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট ও মাল্টিভিটামিন পায়।
- ৪. পরিমিত মাত্রায় দানা দার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে এবং দানাদার খাদ্যে তৈরিতে এর উপাদান গুলোর মিশ্রণ সঠিক অনুপাতে রাখতে হবে।
- ৫. পরিমিত মাত্রায় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস সরবরাহ করতে হবে এবং খাবারে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত ৩ঃ১ রাখতে হবে।
- ৬. নিয়মিত গরুকে ভিটামিন ADE লিকুইড খাওয়াতে হবে অথবা ইনজেকশন করতে হবে।
- ৭. প্রতিদিন গরুকে হাটা চলা করাতে হবে এবং খামারে বেধে পালন করা গরুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা ব্যায়াম বা হাটা চলা করাতে হবে।
- ৮. গরুর ক্ষুরে ব্রাশ করে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং ক্ষুর বেড়ে গেলে বাড়তি ক্ষুর ছাটাই করে দিতে হবে।
- ৯. গোয়াল বা খামারের মেঝে যাতে ছ্যাতছেতে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ১০. গরুকে আলো-বাতাস পূর্ণ স্থানে রাখতে হবে এবং নিয়মিত কৃমিমুক্ত করতে হবে।
- ১১. ক্ষুরা রোগ সহ যে কোনো জটিল রোগের দ্রুত ও সঠিক নিয়মে চিকিৎসা করাতে হবে।
- ১২. সঠিক নিয়মে গরুর ঘর তৈরী করে আরামদায়ক পরিবেশে গরু পালন করতে হবে ও নিয়মিত গরুর পরিচর্যা করতে হবে।
উপরোক্ত নিয়ম ও চিকিৎসার মাধ্যমে আশাকরি আমরা বাছুর, গাভী বা গরুর গিরা ফোলা, হাটু ফোলা, পা ফোলা, ক্ষুর ফোলা বা পা ব্যথা রোগের সমাধান করতে পারবো। মনে রাখতে হবে যে কোনো রোগের চিকিৎসা ডাক্তারের পরামর্শ মতো নেওয়া উত্তম।
2 comments
আমার একটি গাভীর পা ফুলা কি ভাবে সুস্থ করা যেতে পারে পরামর্শ চাই।
উপরের চিকিৎসা পদ্ধতি দ্রুত গ্রহণ করুণ। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আশা করি সুস্থ হয়ে যাবে।
নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon