তারাবির দুয়া নিয়ত রাকাত ও মোনাজাত
- তারাবির নামাজ কি
- তারাবির নামাজের নিয়ম
- তারাবির নিয়ত দুয়া ও মোনাজাত
- তারাবির রাকাত সংখ্যা
- Tarabir Namaz/Namaj
তারাবির নামাজের নিয়ম |
তারাবির নামাজ কিঃ
প্রতিটি মুসলিমের নিকট রমজান মাস পবিত্র, বরকত আর কল্যানের দিক দিয়ে খুবি গুরুত্বপূর্ণ। রমজাম মাসে এশার নামাজের পর এবং বিতর বা বেতের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে যে বিশেষ নামাজ পড়া হয় তাকে তারাবি বা তারাবীর নামাজ(Tarabir Namaz/Namaj) বলা হয়।
তারাবির নামাজ শুরু ও শেষ করার সময়ঃ
রমজান মাসে চাঁদ দেখার পর রাতে এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ পড়া শুরু করতে হয়। প্রতিটি রমজানের রোজা থাকার পূর্ব রাতে তারাবির নামাজ পড়তে হয়। ঈদের চাঁদ দেখা গেলে সেই রাতে তারাবির নামাজ পড়া বন্ধ রেখে রাত শেষে সকালে ঈদের নামাজ পড়তে হয়।
একা একা নাকি জামাতে তারাবির নামাজ পড়তে হয়ঃ
তারাবির নামাজ একা একা পড়া যায়, বাড়িতেও পড়া যায়। এমনকি মহল্লার কিছুলোক জামাতে পড়লেও সবার তরফ থেকে তারাবির নামাজ আদায় হয়ে যায়। তবে জামাতে আদায় করা সুন্নাতে ফিকায়া। একা একা পড়লে মসজিদে জামাতে পড়ার সওয়াব পাওয়া যায় না তাই জামাতের সহিত মসজিদে পড়া উত্তম।
নারী বা মহিলাদের কি তারাবি জামাতে পড়তে হবেঃ
এখানে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। মসজিদে বিশেষ ব্যবস্থা থাকলে মহিলারা মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেন। বিশেষ ব্যবস্থা না থাকলে বাড়িতে অথবা পাড়া বা মহল্লায় মহিলারা জামাত করে পড়তে পারেন।
তারাবির নামাজ পড়ার নিয়মঃ
তারাবির নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই দুই রাকাত করে সালাম ফিরিয়ে চার রাকাত পড়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করে পুনরয় পড়া উত্তম। দুই দুই করে দুই সালামে চার রাকাত পড়ার পর বিশ্রাম নিতে হয়। এ সময় দুরুদ বা তারাবির দোয়া পড়তে হয়। অনেকে নফল নামাজ বা ইবাদোত করতে পারেন।
জামাতে তারাবির নামাজ পড়লে কিরাত উচ্চ স্বরে পড়তে হয় তবে একাকী পড়লে উচ্চ বা নিম্ন যে কোন স্বরে পড়া যায়। তারাবির নামাজ বিতর নানাজের আগে বা পরে যে কোন সময় পড়া যায়। তবে আগে পড়া উত্তম। তারাবির নামাজ একটি সুন্নত ইবাদত। রমজান মাসে অধীক সওয়াব পেতে এ নামাজ অবশ্যই পড়া উত্তম। তারাবির নামাজ অন্য যে কোন ওক্তের দু-রাকাত নামাজের মতই সুরা কিরাত মিলিয়ে একি নিয়মে পড়তে হয়।
তারাবির নামাজ কত রাকাতঃ
তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। রোজাদার এমনকি বে-রোজাদার সকলেরি তারাবির নামাজ পড়া উত্তম। তারাবির নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকে ২০ রাকাত আবার অনেকে ৮ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ে থাকে।
তারাবির নামাজের নিয়তঃ
আরবি নিয়তঃ নাওয়াইতুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'য়ালা রাকায়াতি সালাতিত তারাবিহি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা'য়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি, আল্লাহু আঁকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি কিবলা মুখি হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তারাবির দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করছি, আল্লাহু আঁকবার।
তারাবির নামাজের দোয়াঃ
দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত পড়ার পর বিশ্রামের সময় যে দোয়া পড়তে হয়-
ছুবাহানাজিল মুলকে ওয়াল মালাকুতি। ছুবাহানাজিল ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কিবরিয়ায় ওয়াল যাবারুত। ছুবানাল মালিকিল হায়াল লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। ছুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়ারাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রুহু।
তারাবির মোনাজাতঃ
তারাবির নামাজ শেষে যে কোন ভাবে মোনাজাত করা যায়। অনেকে আবার মোনাজাতের বিপক্ষে। তবে সাধারন্ত তারাবির নামাজ শেষে বিশেষ যে মোনাজাত করা হয়, তা হল-
আরবিঃ আল্লাহুমা ইন্না নাস আলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি। ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান্নারি। বিরাহমাতিকা ইয়া আজিজু ইয়া গাফফারু ইয়া কারিমু ইয়া ছাত্তারু ইয়া খালেকু ইয়া বাররু। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নারি ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
বাংলাঃ হে আল্লাহ তায়ালা। আমরা তোমার নিকট জান্নাতের জন্য প্রার্থনা করছি এবং দোযখের আগুন হতে রক্ষা পেতে প্রার্থনা করছি। হে বেহেস্ত ও দোযখের সৃষ্টিকর্তা। হে মহা প্রতাপশালী, মার্জনাকারী, হে দানশীল, হে আবরণকারী, হে দয়াময়, হে শক্তিশালী, হে সৃষ্টিকর্তা, হে অনুগ্রহকারী, হে আল্লাহ আমাদের দোযখের আগুন হতে রক্ষা করো- হে রক্ষাকারী, হে রক্ষাকারী, হে রক্ষাকারী, তোমার অনুগ্রহ দ্বারা, হে দয়ালু ও সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা।
ইসলামিক যে কোন জিজ্ঞাসা প্রশ্ন বা মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon